মাঝি বাইয়া যায় নদী সইয়া যায়
গভীর এক মিতালী
বাতাস বয়ে যায় পাল উইড়া যায়
সুরেরও গিতালী।।
বঁধু ঘোমটার ফাঁকে ফাঁকে
মনের দুঃখ সব ঢালে
নদীর জলে খেলার ছলে
ডিঙি চলে তালে
কৃষাণীর ঐ ছোট্ট মেয়ে
ঝুমুর তালে দেয় তালি।।
পাখি ডাকে গাছে গাছে
বউ কথা কও সুরে
ততোক্ষণে হারিয়ে যায়
গাঁয়ের থেকে দূরে
দিনের পর দিন বাজে দুখবীণ
কে দেয় আগুন জ্বালি।।
নকশী কাঁথার ফোঁড়ে ফোঁড়ে
কতোই চিত্র ফুটে
নারী মনের ব্যাকুলতা
সুঁচের আগায় ছুটে
পাগল মনটা গান গেয়ে যায়
যেনো সুরেরও মালি।।