আমি হারিয়েছি মোর ছোট্টবেলা হারাইনি তোমাকে
আজো আমায় ঘিরে মা যে আমার সব খানেতেই থাকে ।।
যখন দেখি কারো ঘরে ছোট্ট খুকু হাসে
আমার মায়ের মুখটি তখন চোখের আমার ভাসে |
ইচ্ছে করে দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরি তাকে
আদর করি আবার আমি আমার সোনা মাকে ।।
মাথায় সিঁদুর কপালে টিপ ঘোমটা পড়া মেয়ে
যখন দেখি কারো ঘরে থমকে থাকি চেয়ে ।
শুনি যখন সেই সে বধূ ফু দিয়ে যায় শাঁখে
চোখের উপর দেখি আমি লক্ষ্মী আমার মাকে ।।
বেহুস হয়ে যখন আমি থাকি জ্বরের ঘোরে
কপালে যে জলপটি দেয় যায় গো বাতাস করে ।
আমার মাথায় যখন কোমল সে হাত পরশটি তার রাখে
দুচোখ ভরে দেখি আমার স্নেহময়ী মাকে ।।
ঘুমায় যখন সারাটা দেশ নিশুতি রাত নামে
কাজের শেষে বাড়ীর দোরে চরণ আমার থামে ।
দেখি দুটি পথ চাওয়া চোখ দরজারই ওই ফাঁকে
খাবার নিয়ে রাত জাগা মোর অন্নপূর্ণা মাকে ।।
আত্মীয় আর স্বজন যখন করে অবহেলা
ধনির সমাজ গরীব বলে করে হেলা ফেলা
তখন গল্প কথায় ভোলায় যে মোর মনের দুঃখটাকে
তারই মাঝে দেখি আমার করুণাময়ী মাকে ।।
এমনি করেই সব কটা দিন কাটিয়ে যাব আমি
তিন ভূবনের সোনার চেয়ে মা যে আমার দামী,
সকল ভুলে সারা দেবো মায়ের হাজার ডাকে
দেখবো শুধু বিভোর হয়ে মায়ের মমতাকে ।।