ওরে তোর মা জননী, হায় তোদের মা জননী
আমার সাধের খঞ্জনি
সুরের গলায় লইটকা আছে অসুরের বন্ধন
না না না মা বড় ধন, অমূল্য রতন
সে যে দুঃখের পাষাণে ঘষা সুবাসে চন্দন ।।


হুম, মা যে তোদের গুণবতী হারে হারে চিনি
যাত্রা গানের চিকন সানাই ভাঙ্গা হারমনি
এই জনমের গলার কাঁটা সোহাগী ঘরনী
উচিত কথা কইতে গেলে চোক্ষে ঝরে পানি
চোক্ষেরই পানি, চোক্ষেরই পানিতে খাইলাম নাকানিচুবানি ।
ঘরের শোভা মাকে আমার কতো অনাদরে
হেলায় ফেলায় জ্বালা দিলা সারা জনম ভরে
ও বা আগুন বুকে নিয়ে মা যে তোমার ঘরে
চোখের জলের সাথী হয়েও তোমার সেবা করে
আমরা বাঁচি সুখে দুখে মায়ের আঁচল ধরে
মা ছাড়া এই শূন্য ঘর নিশিরও কান্দন ।।


মা যে আমার দুঃখ সুখের সোনা রূপার কাঠি
দিবানিশি এ সংসারে ঘন দুধের বাটি
মা যে আমার মাটির মায়া সোনা মণি ধান
বাঁশ বাগানে চান্দের আলো ঘুম পাড়ানী গান ।
জানি জানি সবই জানি মনে মনে রাখি
এতো আদর পেলে যদি উড়াল দেয় সে পাখি
সেই ভয়েতে যখন তখন করি যে শাসন
ছন্নছাড়া জীবনে সে মায়ারই বন্ধন ।।