লালন শাহ

Lalon Shah

লালন শাহ
জন্ম ১৭৭২
জন্মস্থান হরিশপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
মৃত্যু ১৭ অক্টোবর ১৮৯০
সমাধি কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ

লালন শাহ লালন ফকির নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন বাঙালি বাউল কবি, গায়ক, এবং সমাজ সংস্কারক। তিনি ১৭৭২ সালে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার হরিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং কোনও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করেননি। তবে তাঁর সঙ্গীত ও কবিতার প্রতি সহজাত প্রতিভা অল্প বয়সেই ফুটে উঠে, যা তাঁকে সামাজিক বেড়াজাল ভেদ করে মর্মস্পর্শী গান রচনা করতে প্ররোচিত করে। লালনের গানগুলি তাদের সরল ভাষা, গভীর দার্শনিক অন্তর্দৃষ্টি এবং প্রেম, সহনশীলতা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি অবিচল নিষ্ঠার জন্য বিখ্যাত। তিনি ধর্মীয় বৈষম্যের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন এবং সামাজিক অবস্থা, বর্ণ বা ধর্ম নির্বিশেষে সবার জন্য সমতা প্রচার করেছিলেন। তাঁর শক্তিশালী গীতিবিন্যাস সীমানার বাঁধন ছাড়িয়ে আজও প্রজন্মের পর প্রজন্ম মানুষের মনে প্রতিধ্বনি করে এবং বাঙালি সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ দিপশিখা হিসেবে তাঁর অবস্থানকে দৃঢ়ীভূত করে।


Lyrics RSS

এখানে লালন শাহ-এর ৪২০টি গানের কবিতা পাবেন।

   
শিরোনাম মন্তব্য
ভজ রে আনন্দের গৌরাঙ্গ ২৯
আল্লাহ বলো মন রে পাখি
সময় গেলে সাধন হবে না
আমি অপার হয়ে বসে আছি
আমার ঘর খানায় কে বিরাজ করে।
কে বানাইলো এমন রঙমহল খানা
এই বেলা তোর ঘরের খবর জেনে নে রে মন
চাতক বাঁচে কেমনে
ধন্য ধন্য বলি তারে ১০
অমৃত মেঘের বারি
করি মানা কাম ছাড়েনা মদনে
অখন্ড মন্ডলাকারং ব্যাপ্তং যেন চরাচর
আপন ঘরের খবর নে না
অজান খবর না জানিলে কীসের ফকিরি
ডুবে দেখ দেখি মন কীরূপ লীলাময়
আমি কি সন্ধানে যাই সেখানে
পাবে সামান্যে কি তার দেখা
সে কি আমার কবার কথা
পারে কে যাবি নবির নৌকাতে আয়
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি
বলি মা তোর চরন ধরে
যেখানে সাঁইর বারামখানা
বড় সংকটে পড়িয়া দয়াল
মন সহজে কি সই হবা
আমার ঘরের চাবি পরেরই হাতে
এই দেশেতে এই সুখ হল
সহজ মানুষ
আপনার আপনি ফানা হলে
সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে?
দয়াল নিতাই কারো ফেলে যাবে না
পাপীর ভাগ্যে এমন দিন কি আর হবে রে
বিনা কার্যে ধন উপার্জন কে করিতে পারে
আমারে কি রাখবেন গুরু চরণদাসী
এমন মানব জনম আর কি হবে
দেখনা মন ঝাক মারি
জাত গেলো জাত গেলো বলে
মুরশিদ বিনে কী ধন আর আছে রে মন এ জগতে
অসার ভেবে সার দিন গেল আমার
মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি
আমি ঐ চরণের দাসের যোগ্য নই
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে
তিন পোড়াতে খাঁটি হলে না
দিল-দরিয়ার মাঝে দেখলাম আজব কারখানা
দেখলাম এ সংসার ভোজবাজি প্রকার
সত্য বল সুপথে চল
তুমি বা কার কে বা তোমার এই সংসারে
লয়ে গোধন গোষ্ঠের কানন
গেড়ে গাঙ্গেরে ক্ষ্যাপা
চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি
পাখি কখন জানি উড়ে যায়
রাত পোহালে পাখি বলে
অনুরাগ নইলে কি সাধন হয়
চলো যাই আনন্দের বাজারে
নবীর ডঙ্কা বাজে এবার
এই মানুষে সেই মানুষ আছে
আমার হয় না রে সে মনের মত মন
আমায় চরণ-ছাড়া কর না হে দয়াল হরি
ও গো বিন্দে ললিতে
আছেন কোথায় স্বর্গপুরে
ভবে মানুষ-গুরু নিষ্ঠা যার
এলাহি আলমিন গো আল্লাহ বাদশাহ আলমপনা তুমি
এমন মানব সমাজ কবে গো সৃজন হবে
সহজ মানুষ ভজে দেখনা রে মন দিব্যজ্ঞানে
এসো হে অপারের কাণ্ডারি
বিনা পাকালে গড়িয়ে কাচি করছো নাচানাচি
আমার মনের বাসনা
আছে ভাবের তালা যেই ঘরে
করি কেমনে সহজ শুদ্ধ প্রেম সাধন
অবোধ মন তোরে আর কী বলি
আমি কি দোষ দিব কারে রে
গুরুর চরণ অমূল্য ধন
মিলন হবে কতো দিনে
ধর রে অধর চাঁদেরে অধরে অধর দিয়ে
আগে জানো নারে মন
আজব আয়না মহল মণি গভীরে
এক ফুলের মর্ম জানতে হয়
আগে গুরুরতি কর সাধনা
আমার দেখেশুনে জ্ঞান হলো না
আপন মনে যাহার গরল মাখা থাকে
কাল কাটালি কালের বশে
গুণে পড়ে সারলি দফা
আদি মক্কা এই মানব দেহে, দেখনারে মন ভরে
অধরাকে ধরতে পারি কই গো তারে তার
অনাদির আদি শ্রীকৃষ্ণনিধি
অনেক ভাগ্যের ফলে সেই চাঁদ কেউ দেখিতে পায়
এ গোকুলে শ্যামের প্রেমে
পড় গে নামাজ জেনে শুনে
আগে কপাট মার কামের ঘরে
গোষ্ঠে আর যাবোনা মাগো
মুখে পড় রে সদাই
আল্লাহ কে বোঝে তোমার অপার লীলে
না বুঝে মজো না পিরিতে
অন্তরে যার সদাই সহজরূপ জাগে
আকার কি নিরাকার সাঁই রব্বানা
বল স্বরূপ কোথায় আমার সাধের পেয়ারী
অপারের কাণ্ডার নবিজী আমার
দেখ না রে মন পুনর্জনম কোথা হতে হয়
মায়েরে ভজিলে হয় তার বাবার ঠিকানা
আমার মতো প্রাণ কাঁদিলে
ভুলো না মন কারো ভোলে
নিগূঢ় প্রেম কথাটি তাই আজ আমি
সাধ মেটেনা লাঙ্গল চষে
বিদেশীর সঙ্গে কেহ প্রেম কইরো না
কে তোমারে এ বেশ ভূষণ
কই হল মোর মাছ ধরা
তোমার মত দয়াল বন্ধু আর পাব না
প্রেম করা কি কথার কথা
আপন মনের বাঘে যারে খায়
আছে যার মনের মানুষ মনে তোলা
নবি না চিনলে সে কি খোদার ভেদ পায়
বল সরূপ কোথায় আমার সাধের পেয়ারী ।
এসো দয়াল আমায় পার কর ভবের ঘাটে
যার ভাবে আজ মুড়েছি মাথা
অনুরাগের ঘরে মারগা চাবি
ভজ মুরশিদের কদম এই বেলা
আগে শরিয়ত জান বুদ্ধি শান্ত করে
প্রেম জানে না প্রেমের হাটের বুলবুলা
আগে মন সাজো প্রকৃতি
ধর চোর হাওয়ার ঘরে ফাঁদ পেতে
কেন ডুবলি না মন গুরুর চরণে
ভজরে জেনে শুনে
আমি আর কি বসবো এমন সাধুর সাধবাজারে ।
নারীর এত মান ভাল নয় ও লো কিশোরী
আপন সুরতে আদম গঠলেন দয়াময়
এ বড় আজব কুদরতি
আর কি হবে মানব জনম বসবো সাধুর মেলে
রাখিলেন সাঁই কূপজল করে
অমাবস্যার দিনে চন্দ্র যেয়ে থাকে কোন শহরে
আজব রঙ ফকিরি
কেন সময় বুঝে বাঁধাল বাঁধলে না
আকারে ভজন সাকারে সাধন, তায়
ক্ষ্যাপা রে তুই না জেনে তোর আপন খবর যাবি কোথায়
আজব এক রসিক-নাগর ভাসছে রসে
অমৃত সে-বারি অনুরাগ নইলে কি যাবে ধরা
জগৎ মুক্তিতে ভোলালেন সাঁই।
পার করো হে দয়াল চাঁদ আমারে
গুরু সুভাব দাও আমার মনে
মনের কথা বলবো কারে
বনে এসে হারালাম কানাই
অন্তিমকালের কালে ও কি হয় না জানি
ফকিরি করবি ক্ষ্যাপা কোন্‍ রাগে
এ ভব তরঙ্গ দেখে আমার
আর আমারে মারিসনে মা
আমি কোথায় ছিলাম আবার কোথায় এলাম ভাবি তাই ।
চিরদিন দুঃখের অনলে প্রান জ্বলছে আমার
আমার দিন কি যাবে এই হালে
আগে পাত্র যোগ্য না করে যে জন সাধন করে
জ্যান্তে মরা সে প্রেম সাধনে
চাঁদে চাঁদে চন্দ্রগ্রহন হয়
সাঁই আমার কখন খেলে কোন খেলা
বিষয় বিষে চঞ্চলা মন দিবা রজনী
মূল হারালাম লাভ করতে এসে
আলিফ লাম মিমেতে কোরান
আপনারে আপনি চিনিনে
ঐ কালার কথা কেন বলো আজ আমায়
অন্ধকারের আগে ছিল সাঁই রাগে
আঠার মোকামে একটি রূপের বাতি
সদা মন থাকো বা হুঁশ
মুখে পড় রে সদা লা-ইলাহা ইল্লাল্লা
অবোধ মন রে তোর হলো না দিশে।
আমি কোন সাধনে তারে পাই
আছে যার মনের মানুষ মনে সেকি জপে মালা
ক্ষম ক্ষম অপরাধ
অন্ধকারে রাগের পরে ছিল যখন সাঁই
পাপ পুন্যের কথা আমি কারে সুধাই
এখন আর ভাবলে কি হবে
দেখিলাম এ সংসার ভোজবাজি প্রকার
কি সন্ধানে যাই সেখানে
মওলা বলে ডাক রসনা
কী কালাম আনিলেন নবি সকলের শেষে।
আজ আমার কৌপিন দে গো ভারতী গোঁসাই
আছে আল্লা আলে রসূল কলে
আইন সত্য মানুষবর্ত করো এই বেলা
মন তুই করিলি একি ইতরপনা
এমন সৌভাগ্য আমার কবে হবে
প্রেম প্রেম বলে করি কোর্ট কাচারি
মুখের কথায় কি চাঁদ ধরা যায়
আগে কে জানে গো এমন হবে
আছে দিন দুনিয়ার অচিন মানুষ একজনা
তরিকতে দাখিল হলে সকল জানা যায়
পার করো দয়াল আমায় কেশে ধরে
আছে কোন মানুষের বাস কোন দলে
কোথায় রইলে হে দয়াল কাণ্ডারি
দিনে দিনে হলো আমার দিন আখেরি
আপনার আপনি মন না জান ঠিকানা
পড় রে দায়েমি নামাজ এ দিন হল আখেরি
জানবো এই পাপী হতে
কোথায় আছেরে সেই দ্বীন দরদী সাঁই
নিচে পদ্ম চরকবাণে যুগল মিলন চাঁদ চকোরা
ও গৌরের ভাব রাখিতে সামান্যে কি পারবি তোরা
মহা ভাবের মানুষ হয় যে জনা
বাড়ির কাছে আরশীনগর
একদিকে রাখলে নজর আর একদিক অন্ধকার হয়
আজ আমার অন্তরে কী হলো ও গো সই
ঘরের চাবি পরের হাতে
আমি কী তা জানলে সাধন সিদ্ধ হয়
ও তুই রোগ বাড়ালি কুপথ্য করে
না পড়িলে দায়েমি নামাজ সে কি রাজি হয়
মানুষ মানুষ সবাই বলে
যেতে সাধ হয়রে কাশী
কে বোঝে মাওলার আলেকবাজি
গুরুর দয়া যারে হয় সেই জানে
দীনের ভাব যেদিন উদয় হবে
আছে মায়ের ওতে জগৎপিতা ভেবে দেখ না
মুরশিদের ঠাঁই নে না রে তার ভেদ বুঝে
আয় দেখে যা নতুন ভাব এনেছে গোরা
আজ ব্রজপুরে কোন পথে যাই
আপন আপন চিনেছে যে জন
মানুষতত্ত্ব যার সত্য হয় মনে
মনের হলো মতিমন্দ
চাঁদ আছে চাঁদে ঘেরা
আয় কে যাবি ওপারে
আজগবি বৈরাগ্য লীলা দেখতে পাই
মনেরে বুঝাবো কত
আবহায়াতের নদী কোনখানে ।
আছেরে ভাবের গোরা আসমানে
চাঁদ ধরা ফাঁদ জান না রে মন
চেয়ে দেখনা রে মন দিব্যনজরে
দিনের দিন হল আমার দিন আখেরি
মোকামে একটি রূপের বাতি জ্বলছে সদায়
ফের প’লো তোর ফকিরিতে
ক্ষ্যাপা রে কেন খুঁজিস মনের মানুষ বলে সর্বদাই
প্রেম পাথারে যে সাঁতারে
দেহের খবর বলি শোন রে মন
না হলে মন সরলা
ক্ষম অপরাধ ওহে দীননাথ
বসত বাড়ির ঝগড়া কেজে
প্যারী ক্ষম অপরাধ আমার
আর কেনরে মন ঘোর বাহিরে
আজ কি দেখতে আলি গো তোরা বলনা তাই
দাঁড়া কানাই একবার তোরে দেখি
তারে কি আর ভুলতে পারি আমার এই মনে
আজো করছে সাঁই ব্রহ্মাণ্ডের অপার লীলে
ভক্তের দ্বারে বাঁধা আছেন সাঁই
মুর্শিদ জানায় যারে
আইনমাফিক নিরিখ্ দিতে ভাব কি
মন চোরারে কোথা পাই
ভবে মানুষ গুরু নিষ্ঠা যার
দস্তখত নবুয়ত যাহার হবে
প্রেমের সন্ধি আছে তিন
মেরে সাইর আজব কুদরতি তা কে বুঝতে পারে
মনের নেংটি এঁটে করো রে ফকিরী।
সেই কালাচাঁদ নদেয় এসেছে
সোনার মানুষ ভাসছে রসে
ধন্য আশেকিজনা এ দীন দুনিয়ায়
আমার চরকা ভাঙ্গা টেকো আড়ানে
আল্লার বান্দা কিসে হয় বলো গো আমায়
সোনার মান গেল রে ভাই
ভাবের উদয় যেদিন হবে
আত্মতত্ত্ব সাধন করে জ্ঞানীজন বসে রয়
আমার একি কবার কথা
সবে কি হবে ভবে ধর্মপরায়ণ
ধন্য মায়ের নিমাই ছেলে
এক ফুলে চার রঙ ধরেছে
মোরা গৌর স্বয়ংকার শিক্ষায় বলি
আশেক বিনে ভেদের কথা কে আর বোঝে
শুদ্ধ প্রেম সাধলো যারা
ভবে কে তাহারে চিনতে পারে
একবার জগন্নাথে দেখ যেয়ে
মন তোর আপন বলতে আর কে আছে
আহাদে আহাম্মদ এসে
আর কি পাশা খেলবরে
ভজনের নিগূঢ় কথা যাতে আছে
চরণ পাই যেন অন্তিমকালে
আমি তো নইরে আমার
আমি কার ছায়ায় দাঁড়াই বলো
সাধ্য কিরে আমার সেরূপ চিনিতে
আমি বলি তোরে মন গুরুর চরণ কর রে ভজন
চিরদিন জল ছেঁচে মোর
যাও হে শ্যাম রাইকুঞ্জে আর এসো না
ভবপারে যাবি কিরে গুরুর চরণ স্মরণ কর আগে
আপন খবর না যদি হয়
আপ্ততত্ত্ব না জানিলে ভজন হবে না
আশাসিন্ধু তীরে বসে আছি সদাই
হরি বলে হরি কাঁন্দে কেনো
ডুবে দেখ দেখি নদীর জলে মীনরূপে সাই খেলে
ওগো রাইসাগরে নামলো শ্যামরায়
এ ধন যৌবন চিরদিনের নয়
নবি একি আইন করলেন জারি
ভজ রে জেনে শুনে
একদিন পারের কথা ভাবলি নারে
পড়ে ভূত আর হোস নে মনরায়।
আমি যার ভাবে মৌড়েছি মাথা
আর কি গৌর আসবেন ফিরে ।
কোন কলে হয় নানাবিধ আওয়াজ উদয়
স্বরূপে রূপ আছে গিলটি করা
ঘরে বাস করো সেই ঘরের খবর নাই
আপন মনের গুণে সকলি হয়
ভবে নামাজি হও যে জনা
আমার মন-বিবাগী ঘোড়া বাগ ফিরাতে পারি নে দিবারাতে
সকলই কপালে করে
গুরু বস্তু চিনে নে না
এনে মহাজনের ধন বিনাশ করলি ক্ষ্যাপা
মন রে আত্মতত্ত্ব না জানিলে
ও মন কর সাধনা মায়ায় ভুল না
কি শোভা করেছেন সাঁই রঙমহলে
আর কি আসবে কেলে সোনা এই গোকুলে
দিবানিশি থাক রে মন বাহুশারি
দেখ রে আমার রাসুল যার কাণ্ডারি এই ভবে
একাকারে হুহুংকার মেরে আপনি সাঁই রাব্বানা
দমের উপর আসন ছিল তার
না জেনে ঘরের খবর তাকাও আসমানে
এক আসমানি চোর ভবের শহর লুটছে সদাই
এক অজান মানুষ ফিরছে দেশে
পড় ইবনে আবদুল্লা
কি সাধনে পাই গো তারে
চল্ দেখি মন কোন দেশে যাবি
কার ভাবে এ ভাব হারে জীবন কানাই
বেদে কি তার মর্ম জানে
আল্লাহ নাম সার করে যে জন বসে রয়
জানি মন প্রেমের প্রেমিক কাজে পেলে
এই গোকুলে শ্যামের প্রেমে
খালি ভাঁড় থাকবে রে পড়ে
জানা চাই অমাবস্যায় চাঁদ থাকে কোথায়
নামটি আমার সহজ মানুষ সহজ দেশে বাস করি
হতে চাও হুজুরের দাসী
খোদ খোদার প্রেমিক যে জনা
বিনা মেঘে বর্ষে বারি
পাগল দেওয়ানের মন কী ধন দিয়ে পাই
প্রেমবাজারে কে যাবি তোরা আয় গো আয়
ফকির হলি রে নিমাই কীসের দুঃখে
দিন থাকতে মুরশিদ রতন চিনে নে না
দেখে শুনে ঘোর গেল না
ও তোর ঠিকের ঘরে ভুল পড়েছে মন
আর কি আসবে সেই গৌরচাঁদ এই নদীয়ায়
ধোঁড় আজাজিল সেজদা বাঁকি রেখেছে কোনখানে
ব্রজলীলে একি লীলে
প্রেম-পিরীতের উপাসনা
গুরু তুমি স্বরূপের অধীন
প্রেম কি সামান্যেতে রাখা যায়
দেখ না রে ভাবনগরে ভাবের ঘরে ভাবের কিস্তি
ধন্য রে রূপ সনাতন জগৎমাঝে
আপ্ততত্ত্ব সাধন করে জ্ঞানীজন বসে রয়
এমন দিন কি হবে রে আর
নৈরেকারে ভাসছে রে এক ফুল
আশেকে উম্মত্ত যারা
কুলের বউ ছিলাম ভাড়ি
কারে সুধাই আজ সে কথা
ওগো মানুষের তত্ত বল না
ওমা যশোদে তায় আর বললে কী হবে
দেখবি যদি সোনার মানুষ দেখে যারে মন পাগলা
কে তোর মালিক চিনলি না রে
তিন দিনের তিন মর্ম জেনে
বোঝালে বোঝে না মনরায়
নৈরাকারে দুইজন নূরি ভাসছে সদাই।
পাপধর্ম যদি পূর্বে লেখা যায়
বিষম রাগের করণ করা
নানারূপ শুনে শুনে প্রেমে শূন্য পলাম খাতায়
আল্লা সে আল্লা বলে ডাকছে সদাই কার ফিকিরি
নীরে শুনি নিরঞ্জন হ’ল
একি আজগুবি এক ফুল
দিন দুনিয়ার অচিন মানুষ আছে একজনা।
ধ্যানে যারা পায় না মহামণি
এ জনম গেল রে অসার ভেবে
এই বেলা তোর মনের মানুষ চিনে সাধন কর
এখনো সাধ আছে তোমার আ’ল ঠেল বলে
বিনা পাগালে গড়িয়ে কাঁচি
গোয়াল ভরা পুষনে ছেলে
দাঁড়া তোরে একবার দেখি ভাই
প্রেম-নহরে ভেসেছে যারা
নিচে পদ্ম উদয় জগৎময়
এখন কেনে কাঁদছ রাধে নির্জনে
বল রে নিমাই বল আমারে
পারে কে যাবি তোরা আয় না জুটে
আর তো কালার সে ভাব নাই কো সই
দিব্যজ্ঞানে দেখ রে মনুরায়
তা কি মুখের কথায় হয়
ভজা উচিৎ বটে ছড়ার হাঁড়ি
রসিক নাম ধরিয়ে মনা
আর আমার বলিস না রে ছিদাম ব্রজের কথা ।
ব্রজের সেই প্রেমের মর্ম সবাই কি জানে
ঐ গোরা কি শুধুই গোরা ওগো নাগরী
মুর্শিদের ঠাঁই নে নারে তার ভেদ বুঝে
পাবি রে মন স্বরূপের দ্বারে
জানা উচিৎ বটে দুটি নূরের ভেদ-বিচার
জগতের মূল কোথা হতে হয়
পারোনি হেতু সাধন করিতে
প্রেম-ইন্দ্রবারি অনুরাগ নইলে কি যায় ধরা
জান গে সেই রাগের করণ
ভবের গোলা আসমানে
একি অনন্ত লীলা তার দেখ এবার
গরল ছাড়া মানুষ আছে কে রে
জীব ম’লে যায় জীবান্তরে
মধুর দেল দরিয়ায় ডুবে করো ফকিরি
দেখ রে মন দিন-রজনী কোথা হতে হয়
নাম পাড়ালাম রসিক ভেয়ে
জগৎ আলো করেছে সই ও ফুলে প্রেমের কলি
ভাল জল-ছেঁচা কল পেয়েছ মনা
ফেরেব ছেড়ে করো ফকিরি
আয় হারালি আমাবতী না মেনে
দেখলাম সেই অধরচাঁদের অন্ত নাই
দেখবি যদি সেই চাঁদেরে
দেখলাম কি কুদরতিময়
পেঁড়োর ভূত হয় যে জনা শোন রে মনা
ওগো তোমার নিগূঢ় লীলা সবাই জানে না
ধর গো ধর গৌরাঙ্গচাঁদেরে
পূর্ণচন্দ্র উদয় কখন কর মন বিবেচনা
দেল-দরিয়ায় ডুবিলে কি সে ধড়ের খবর পায়।
তোর ছেলে যে গোপাল সে সামান্য নয় মা
ব্রজ লীলে একি লীলে
তিল পরিমাণ জায়গাতে কী কুদরতিময়
একবার চাঁদবদনে বল রে সাঁই
দেখ না এবার আপনার ঘর ঠাউরিয়ে
ধন্য ভাব গোপীর ভাব আ মরি মরি
জীব মলে জীব যায় কোনখানে
তারে চিনবে কেরে এই মানুষে
দেল-দরিয়ায় ডুবে দেখ না
ছার মানে মজে কৃষ্ণধনকে চেনো না
ডুবে দেখ দেখি মন ভবকূপে
তোমরা আর আমায় কালার কথা বল না
জমির জরিপ একদিনেতে সারা
কি সাধনে পাই গো তারে, যার নাম অধর
বিষ অমৃত আছে মাখাজোখা
প্রাণ গৌররূপ দেখতে যামিনী
তোর ঠিকের ঘরে ভুল পড়েছে মন
দেখ না আপন দেল-মন ধুড়ে
চাঁদ-চকোরে রঙমহলে থেকে
এবার কে তোর মালেক চিনলে না তারে
ঠাহর নাই আমার মন-কাণ্ডারি
তীরধারা বয় রে নদীর তীরধারা বয়

    This is the profile page of Lalon Shah. You'll find a list of Bangla song lyrics of Lalon Shah on this page.